Email :34
গাজা যুদ্ধবিরতিসংক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূতের প্রস্তাবের জবাবে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। তবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান পরিষ্কার করেনি।
হামাস শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তাদের যে ‘প্রস্তাব’ জমা দেওয়া হয়েছে, তা ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং আমাদের জনগণ ও পরিবারগুলোর জন্য সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেওয়া হয়েছে’।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এই চুক্তির অংশ হিসেবে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর হাতে থাকা জীবিত ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, পাশাপাশি ১৮ জনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে, এর বিনিময়ে নির্দিষ্টসংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে।
সিএনএন জানিয়েছে, তারা যেসব শর্তের খসড়া কপি দেখেছে, তা অনুযায়ী, মার্কিন সমর্থিত ও ইসরায়েল অনুমোদিত ওই প্রস্তাবে হামাস ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি ও ১৮ জনের মৃতদেহ ফিরিয়ে দেবে, যার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে ১২৫ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দি এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আটক হওয়া আরো এক হাজার ১১১ জন গাজাবাসীকে।
এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হবে। একই সঙ্গে গাজায় ‘তাৎক্ষণিক’ মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি থাকবে এবং তা জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্টসহ ‘সম্মত চ্যানেলের’ মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
তবে খসড়া চুক্তিতে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান নিশ্চিত করার কোনো প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত নেই, যা হামাসের অন্যতম প্রধান দাবি।
পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আলোচনা চলাকালীন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে—এমন নিশ্চয়তাও নেই। বরং এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এই আলোচনা গঠনমূলকভাবে চালিয়ে যাওয়া এবং একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছনোর লক্ষ্যে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
হামাস শুরুতে এই প্রস্তাবের শর্ত মেনে নিতে অনীহা দেখিয়েছিল। হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য বাসেম নাঈম বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লেখেন, এই কাঠামো ‘আমাদের জনগণের কোনো দাবিই পূরণ করে না’, তবে আলোচনা এখনো চলছে। সিএনএন